ঢাকাশনিবার , ১৯ নভেম্বর ২০২২
  • অন্যান্য
নোটিফিকেশন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

‘কুষ্টিয়া কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজঃ গৌরব ও অর্জনের ১০ বছর’

এইচ,এম, সাইফ উদ্দীন আল-আজাদ
নভেম্বর ১৯, ২০২২ ৬:৩১ অপরাহ্ণ । ৩৬১ জন

এইচ.এম.সাইফ উদ্দীন আল-আজাদ,প্রকাশক ও সম্পাদকঃ

কুষ্টিয়াসহ এই অঞ্চলের আধুনিক শিক্ষা বিস্তারে এক নতুন দিগন্তের উন্মেষ ঘটিয়েছে কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ, কুষ্টিয়া। ২০১২ সালের ১৮ অক্টোবর আজকের এই দিনে কালেক্টরেট চত্বরের সবুজ আঙিনাজুড়ে গড়ে এই মহান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তৎকালীন জেলা প্রশাসক বনমালী ভৌমিক গড়ে তোলেন কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ। বিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি। একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করেন সচিব এনআই খান। দ্বিতল বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের ভবন গড়ে তোলেন ডিসি বনমালী ভৌমিক। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ সম্পন্ন হলেও স্কুলটির শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর আগেই তিনি প্রমোশনজনিত কারনে বদলী হন। এরপর জেলা প্রশাসক হিসেবে আসেন সৈয়দ বেলাল হোসেন। তিনি পরম মমতায় এই বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন। বিশেষ করে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদেন জেলা প্রশাসকের সহধর্মিণী মিসেস রেহানা সুলতানা। তিনি ব্যক্তিজীবনে ঢাকা মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরী স্কুলের শিক্ষক হওয়ার কারনে তিনি তার সেই অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করেন কালেক্টরেট স্কুলে। ঢাকার ভালো ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসের সাথে সমন্বয় করে একটি উন্নত ও আধুনিক সিলেবাস পায় কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পোশাক তিনিই নির্ধারণ করেছিলেন। উন্নয়ন কাজ তদারকি করতেন সে সময়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন। একটি নতুন ভবন উপহার দেন ডিসি সৈয়দ বেলাল হোসেন। প্রমোশনজনিত কারনে তিনি বদলী হন। এরপর জেলা প্রশাসক হিসেবে আসেন মোঃ জহির রায়হান। তিনি একনিষ্ঠভাবে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাকার্যক্রম অব্যাহত রাখেন। বিশেষ করে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন জেলা প্রশাসকের সহধর্মিণী মিসেস শামসুন নাহার। তিনি নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে শিক্ষা কার্যক্রম তদারকি করতেন। সার্বিক কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। প্রমোশনজনিত কারনে ডিসি জহির রায়হান বদলী হন। এরপর আসেন ডিসি মোঃ আসলাম হোসেন। তিনি শত ব্যস্ততার মাঝেও প্রথমেই গুরুত্ব দেন কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের বিষয়ে। তার সহধর্মিণী মোছাঃ জাকিয়া সুলতানা অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন। ডিসি আসলাম হোসেন একটি বিশালাকৃতির দ্বিতল ভবন নির্মাণ, অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশাল খেলার মাঠ উপহার দেন । তিনি সময় পেলেই নিজে সহজ নিয়মে গণিতের ক্লাস নিতেন। শিক্ষার্থীদের কাছে তিনি অতিপ্রিয় হয়ে আছেন। অধ্যক্ষ হিসেবে মোছাঃ জাকিয়া সুলতানা বেশ সময় দিতেন এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতেন। প্রমোশনজনিত কারনে তিনিও কুষ্টিয়া থেকে বদলি হলেন। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক হিসেবে আসেন বর্তমান শিক্ষাবান্ধব জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। তিনি কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের নিয়ে সমাবেশ করেন। সবার কাছে থেকে বিভিন্ন পরামর্শ নেন এবং সমস্যার কথা শুনে তার সমাধান করেন। অধ্যক্ষ হিসেবে আসেন জেলা প্রশাসক সহধর্মিণী আইরিন আক্তার। তিনি করোনাকালীন দুঃসময়ে যোগদান করলেও শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হতে দেননি। অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখেন। লটারীর মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম চালু করেছেন। বর্তমান জেলা প্রশাসকের সময় কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠদানের অনুমতি পায় এবং প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভূক্ত হয়। সার্বিক তদারকিতে শিক্ষার মানোন্নয়ন হয়েছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাদের কাছে ঋণে আবদ্ধ তারা হলেন, পর্যায়ক্রমে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মুহঃ ফজলুর রহমান, মজিবুল ফেরদৌস, আনারকলি মাহবুব, হাবিবুর রহমান, আজাদ জাহান, লুৎফুন নাহার ও বর্তমান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক শারমিন আক্তার, শিক্ষা ও আইসিটি আ ন ম আবুজর গিফারী । এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের শিক্ষা শাখার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ জামাল আহমেদ, রাসেল মিয়া, রোখসানা পারভাীন, রবিউল আলম, নাশিদ কায়সার রিয়াদ, নিশাদ আন্জুম অনন্যা, শরিফ উল্ল্যাহ, এবিএম আরিফুল ইসলাম, ফারিয়া সুলতানা শাহিনুর আক্তার, তাইফুর রহমান, আহমেদ সাদাত, খাদিজা খাতুন, শাহেদ আরমান সহ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। সকলের প্রতি কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ কুষ্টিয়ার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা ও ঋণ স্বীকার করছি।

error: Content is protected !!