আজাদীর কন্ঠ প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশন ঘোষিত প্রথম দফার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন রাত পোহালেই রোজ বুধবার কুষ্টিয়ার খোকসা ও সদর উপজেলায় অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে ঘিরে দুই উপজেলায় নির্বাচনী ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চলেছে। গতকাল শেষ মুহুর্তের প্রচারনাও চালিয়েছেন প্রার্থীরা। কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত টিকে রয়েছেন দু’জন। শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা অপরজন বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান আবু আহাদ আল মামুন (দিপু মীর)। শেষ দিনেও আনারস প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারণায় বাঁধাদান, রিক্সা ও মাইক ভাংচুরের অভিযোগ করেছেন মটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহাদ আল মামুন (দিপু মীর)। এর আগেও তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে অভিযোগের তীর ছুঁড়েছিলেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আতাউর রহমান আতার বিরুদ্ধে। সেখানে তিনি জেলা পরিষদের সদস্য জহুরুল ইসলাম, ঝাউদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান ও ঊজানগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কারের বিরুদ্ধে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য হত্যার হুমকির অভিযোগ করেন। অভিযুক্তরা মামুনের এই অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।এ বিষয়ে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমান আতা প্রতিপক্ষের সকল অভিযোগ অসত্য ও ভিত্তিহীন দাবি করে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। ভোটের মাঠে আতাউর রহমান আতাকে এমপির আত্মীয় হিসাবে স্বাধীনতা বিরোধী গণমাধ্যম প্রথম থেকেই তোপের মুখে ফেলেছিলো। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, পরিবার বলতে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানকে বুঝিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন যারা আগে থেকেই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত তাদের জন্য আত্মীয়তার বিষয়টি প্রযোয্য নয়। এরপর থেকে কুষ্টিয়ায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীরা অপপ্রচার থেকে সরে দাঁড়ায় এবং আতাউর রহমান আতার ক্রমেই জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।সদর উপজেলা নির্বাচনে আনারস প্রতীকে আতাউর রহমান আতা পূনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষের সমর্থন এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের বক্তব্য থেকে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। সদর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২০ হাজার ৮শত ৩৩ জন।এদিকে খোকসা উপজেলার নির্বাচনী উত্তাপ এখন চরমে। গতকাল শেষদিন পর্যন্ত টানটান উত্তেজনার মধ্যদিয়ে প্রচার প্রচারণা সম্পন্ন করেছেন প্রার্থীরা। খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। আল মাসুম মুর্শেদ শান্ত (ঘোড়া মার্কা), সালেহা বেগম (আনারস), বাবুল আক্তার (মটর সাইকেল), রহিম উদ্দিন খান (দোয়াত কলম), সাইফুল ইসলাম (হেলিকপ্টার), শাওন মাহমুদ খান (কাপ পিরিচ)। এরমধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী রহিম উদ্দিন খান (দোয়াত কলম), আল মাসুম মুর্শেদ শান্ত (ঘোড়া মার্কা), বাবুল আক্তার (মটর সাইকেল)। খোকসা উপজেলা নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই হতে যাচ্ছে। খোকসা উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১৬ হাজার ৮ জন।