কুষ্টিয়াতে সুবিধাবঞ্চিত খেটে খাওয়া দিনমজুর ও যানবাহন চালকগন যেন এই প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে না পরে, সে চিন্তা থেকে যানবাহন চালক ও পথচারীদের মাঝে সম্পূর্ণ ফ্রি’তে শরবত বিতরণ করতে,মানবতার ফেরিওয়ালা হয়ে মাঠে নেমেছেন, কুষ্টিয়ার একটি সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান “সাহেরা খাতুন ফাউন্ডেশন”। সেফটি মেইনটেইনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ পরিষ্কারভাবে জীবানু মুক্ত অবস্থায় লেবু-মিশ্রি-ট্যাংক ইত্যাদি দ্বারা বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানি মিশ্রণে শরবত তৈরি করে,খেটে খাওয়া দিনমজুরদের তৃষ্ণা মিটাচ্ছেন “সাহেরা খাতুন ফাউন্ডেশন”। কুষ্টিয়াতে সাহেরা খাতুন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জনগণের সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন,বছরজুড়ে গরীব দুঃখী অসহায় মানুষদের কাপড় বিতরণ,কোন সময় শিক্ষা উপকরণ বিতরণ,কোন সময় ধর্মীয় মাহফিল,আবার কোন কোন সময় বড় রোগে কেহ আক্রান্ত হলে অত্র ফাউন্ডেশনের পক্ষ্য থেকে পাশে দাঁড়ানো হয়।এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পৌর ১৬নং ওয়ার্ড মঙ্গলবাড়িয়া বাজারে প্রায় ১০হাজার জনগণের মাঝে তৃষ্ণা মিটাতে ঠান্ডা শরবত বিতরণ করেন সাহেরা খাতুন ফাউন্ডেশন।তীব্র গরমে জনজীবনে স্বস্তি চাওয়া সাধারণ জনগণ যখন জীবিকার তাগিদে তাপদাহ্ এর মধ্যে সময় কাটাচ্ছে, ঠিক তখন খেটে খাওয়া যানবাহন চালক ও পথে চলাচলকারী জনগণ ফ্রী শরবত পান করে মনভরে দোয়া করে যাচ্ছেন।এসময় সাহেরা খাতুন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শিল্পপতি ইদ্রিস আলীর পক্ষ্যে শরবত বিতরণে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,পৌর ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগ সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু উলামা পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা সেক্রেটারি মুফতী সাইফ উদ্দীন আল-আজাদ, মঙ্গলবাড়িয়া বাজার কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান কামু, বিশিষ্ট সমাজসেবক হাবিবুর রহমান,আসাদুল্লাহ হাদী,
জেলা ছাত্র লীগের সহ-সভাপতি সেলিম হোসাইন রাজ। এছাড়াও সাহেরা খাতুন ফাউন্ডেশনের অসংখ্য সেচ্ছাসেবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত বক্তারা বলেন,আমরা চেষ্টা করবো এই প্রচন্ড গরমের মাঝে কিছুদিন এই সেবামূলক কাজ চালিয়ে যাওয়ার। আপনারা আপনাদের জায়গা থেকে নিজেদের পরিবার ও প্রতিবেশীদের প্রতি খেয়াল রাখুন।এবং যারা এই গরমের মাঝে আপনাদেরকে সেবা দান করছেন, তাদের জন্য মনথেকে দোয়া করুন। আমরা চাই আমাদের এই সেবামূলক কার্যক্রম দেখে আরো হাজারো বৃত্তবান মানুষ এগিয়ে এসে তারাও ভিন্ন ভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াক,তাহলে কিছুটা হলেও উপকৃত হবে অসহায় খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
