আজাদীর কন্ঠ প্রতিবেদক : কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনবিহীন বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্টের স্বঘোষিত চেয়ারম্যান আবু আহাদ আল মামুন মটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের শুরু থেকেই নানা নাটকীয়তার অবতারনা করছেন। প্রথমে ফেসবুকে নিজ আইডি থেকে উষ্কানিমুলক ও আপত্তিকর স্ট্যাটাস দিয়ে কুষ্টিয়ার গণমাধ্যমকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষন করে মিথ্যা সংবাদের অবতারণা ঘটান। এরপর শেষ প্রচারণার আগের দিন তার প্রচার মাইক ও রিক্সা ভাংচুরের অভিযোগ করেন। দুটি ঘটনার মাঠ পর্যায়ে কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কোন রিক্সা ভেঙ্গেছে বা কার মাইক ভেঙ্গেছে তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ মুহুর্তের রাতে শহরের মিলপাড়ায় হামলার নাটকের অবতারণা করেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল মার্কা) ১ম হয়েছিলো সেই এলাকায় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মটর সাইকেল প্রতীকের আবু আহাদ আল মামুনের উপর হামলা কে বা কারা করেছে তা স্পষ্ট নয়। আদৌ হামলা হয়েছে কিনা তার কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে প্রার্থীর হাতে মোবাইল, চোখে চশমা অক্ষত রয়েছে। একইভাবে মাথার চুলের ভাঁজ পর্যন্ত ভাঙ্গেনি। এমন ব্যক্তি হামলার শিকার হলেন কিভাবে? শুধুমাত্র পাঞ্জাবি ছিঁড়ে কুষ্টিয়ার শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশকে অশান্ত করার অশুভ পাঁয়তারা কি না তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।
শান্তিপূর্ণ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্র“তি দিয়ে জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা বলেন, কুষ্টিয়ায় প্রথম থেকে এ পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ শান্ত রয়েছে। সেখানে কে বা কারা এই পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।আনারস প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমান আতা বলেন, যে এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হচ্ছে ঐ এলাকার কোন প্রত্যক্ষদর্শী এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারেনি। আমার কর্মীরা প্রথম থেকেই শুশৃংখল এবং শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে। কর্মীবিহীন নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অশুভ পাঁয়তারা চলছে। আশাকরি প্রশাসন এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।